মালয়েশিয়া: সাধ্যের মধ্যে ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষার’ স্বপ্ন ছোঁয়ার সুযোগ
মালয়েশিয়া: সাধ্যের মধ্যে ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষার’ স্বপ্ন ছোঁয়ার সুযোগ
·
ক্রমোন্নত আন্তর্জাতিকমানের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থা :
মালয়েশিয়া, দক্ষিন এশিয়ার একটি উদীয়মান
উচ্চশিক্ষাকেন্দ্র। উচ্চশিক্ষার জন্য আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয়তার দিক থেকে মালয়েশিয়া ১১তম স্থানে অবস্থান করছে। সারা বিশ্বের ১০০ এর বেশি দেশ থেকে ৮০০০০ এরও অধিক শিক্ষার্থী এখানে অধ্যয়নরত রয়েছে। মালয়েশিয়ান শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের পক্ষ থেকে The Malaysian Qualifications Agency
(MQA) সর্বক্ষেত্রের শিক্ষাব্যবস্থার মান
পর্যবেক্ষন করে এবং সরকারী ও বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করে। উচ্চশিক্ষার জন্য নিশ্চিন্তে বেছে নিতে পারেন ‘এশিয়ার ইউরোপ’ খ্যাত এ দেশটিকে।
মালয়েশিয়ায়
ইউকে এবং অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাস রয়েছে, আপনি চাইলে মালয়েশিয়ায় অবস্থান করে এবং মালয়েশিয়ান ফি প্রদান করে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ডিগ্রি ও সার্টিফিকেট নিতে পারবেন। মালয়েশিয়ায় বিশ্বের প্রথম ১০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে অন্যতম ২টি বিশ্ববিদ্যালয়-মনাশ ইউনিভার্সিটি অফ অষ্ট্রেলিয়া এবং দ্যা ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহাম(ইউকে) এর ব্রাঞ্চ ক্যাম্পাস রয়েছে । মালয়েশিয়ার কে.বি.ইউ. ইন্টারন্যশনাল কলেজ ইউকে এর এংলিয়া রাসকিন, নটিংহাম ট্রেন্ট এবং শেফিল্ড হলাম বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে সংযুক্ত রয়েছে।
·
সাশ্রয়ী উচ্চশিক্ষা,
আবাস
ও
চিকিৎসা সুবিধা
:
অষ্ট্রেলিয়া, ইউএস, ইউকে, ফ্রান্স, কানাডার থেকে মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নের খরচ অনেক কম। ইউনিভার্সিটি অফ নটিংহামের ইউকের ক্যাম্পাসে যে স্নাতক কোর্স করতে খরচ হয় ১৩৪৭০ ইউকে পাউন্ড, সে একই কোর্স করতে মালয়েশিয়ান ক্যাম্পাসে খরচ হয় মাত্র ৭০০০ ইউকে পাউন্ড। অথচ কোর্সের বিষয়সূচির সংখ্যা, মূল্যায়ন মানদন্ড, মার্কিং পদ্ধতি সম্পূর্ণ এক হওয়ায়, দুইটি ডিগ্রিই সম মানসম্পন্ন।
মালয়েশিয়ায় জীবনযাত্রার ব্যয়ও তুলনামূলকভাবে বেশ কম, যা আপনার বিদেশে উচ্চশিক্ষার সার্বিক ব্যয় কমাতে সহায়তা করবে। অধ্যয়নরত বিদেশী শিক্ষার্থীরা মাসে মাত্র ১১০০ মালয়েশিয়ান রিংগিত(২৭০ ইউএস ডলার) ব্যয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন(বাসস্থান, খাদ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য এবং অন্যান্য দৈনন্দিন খরচ সহ) করতে পারে। ‘সাশ্রয়ের শহর’ হিসেবে কুয়ালালামপুর বরাবরই বিশ্বর্যাংকিং-এর প্রথমে অবস্থান করে।
মালয়েশিয়ায় অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অত্যধিক দক্ষ ও সাশ্রয়ী স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকে। এখানে মাত্র ১০ ইউএস ডলার অর্থমূল্য ফি দিয়ে ডাক্তার দেখানো সম্ভব হওয়ায়, অনেক শিক্ষার্থীই স্বাস্থ্যবীমা করায় না।
স্বল্পখরচে আন্তর্জাতিক উচ্চশিক্ষা লাভের ইচ্ছা থাকলে মালয়েশিয়া হতে পারে আপনার প্রথম পছন্দ।
·
ভৌগোলিক অবস্থান,
নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া, পর্যটনবান্ধব ও শান্তিপূর্ণ দেশ :
ইউরোপ
ও এশিয়ার সামুদ্রিক যাত্রাপথে মালয়েশিয়ার অবস্থান ঠিক মাঝবরাবর হওয়ায়, দেশটি ধীরে ধীরে বহু সংস্কৃতির মিলনমেলায় পরিনত হয়েছে। মালয়েশিয়া বিশ্বের অন্যতম নিরাপদ ও রাজনৈতিকভাবে স্থিতিশীল দেশ, অপরাধ সংঘটনের হারও অত্যন্ত কম। বিশ্ব শান্তিপূর্ণ দেশের তালিকায় ১৬তম স্থানে থাকা এ দেশটিকে উচ্চশিক্ষার জন্য নির্ভয়ে বেছে নিতে পারেন। রৌদ্রজ্জ্বল ও বৃষ্টিবহুল মালয়েশিয়ার নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়ায় যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য মানিয়ে নেওয়া সহজ হয়। গড় তাপমাত্রা ২৭-২৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মালয়েশিয়া থেকে বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র দেশ যেমন থাইল্যান্ড, সিংগাপুর, ইন্দোনেশিয়া বিমানপথে মাত্র তিনঘন্টা দূরত্বে অবস্থিত এবং মালয়েশিয়ার নিজস্বও বেশকিছু টুরিস্টস্পট আছে। ছুতির দিনে ভ্রমনের অনুমতি থাকায়, শিক্ষার্থীরা অনায়াসেই বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্রে ভ্রমন করতে পারে। আপনি ভ্রমনপিপাসু হয়ে থাকলে মালয়েশিয়ায় উচ্চশিক্ষা আপনার জন্য সূবর্ণ সুযোগ।
·
সাশ্রয়ী যোগাযোগব্যবস্থা ও সহজ অভিবাসন প্রক্রিয়া :
ট্রেন,
বাস, ট্যাক্সির সমন্বয়ে গড়ে ওঠা মালয়েশিয়ার যাতায়াত ব্যবস্থা স্বাচ্ছন্দ্যময় ও সাশ্রয়ী। মালয়েশিয়া থেকে অন্য যেকোনো দেশে যাতায়াতের বিমানভাড়া অত্যন্ত কম, প্রতি ৬০ মাইল মাত্র ৪ ইউএস ডলার।
নিয়মকানুনবহুল দেশগুলোর তুলনায় মালয়েশিয়ায় আপনি সহজ ও ঝামেলামুক্ত অভিবাসন প্রক্রিয়ার সুবিধা পাচ্ছেন। ভিসা এবং অভিবাসন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ও সহায়তা পেতে Eduhub এর হটলাইনে যোগাযোগ করুন।
·
ছাত্রাবস্থায় পার্টটাইম জবের
সুবিধা
:
মালয়েশিয়ার
আইন ছাত্রবান্ধব। আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা অধ্যয়নরত অবস্থায় সপ্তাহে সর্বোচ্চ ২০ ঘন্টা পার্টটাইম জব করার অনুমতি পায়। শিক্ষার্থীদের স্থানীয় মার্কেট, রেস্টুরেন্ট, হোটেল ও পেট্রল স্টেশনগুলোতে কাজ করতে উৎসাহ দেওয়া হয়।
·
বৈচিত্র্যপূর্ণ সংস্কৃতি ও উদার ভাষারীতি:
বিশ্বের
বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষের সাথে পরিচিত হওয়া এবং তাদের বৈচিত্রধর্মী সংস্কৃতি ও জীবনযাত্রার চাক্ষুস অভিজ্ঞতা লাভের জন্য মালয়েশিয়া একটি অতুলনীয় স্থান। এখানকার অর্ধেক বাসিন্দা স্থানীয় মালয় জাতি, বাকি অর্ধেক বাসিন্দা চীন, ভারত এবং অন্যান্য দেশের। বৈচিত্র্যময় ও মিশুক অধিবাসীরা আপনার ‘যোগাযোগ
দক্ষতা’ বৃদ্ধি
ও বিভিন্ন জাতি সম্পর্কে জানতে সহায়তা করবে।
ইংরেজী
এবং মালয় মালয়েশিয়ার সর্বাধিক ব্যবহৃত দুইটি ভাষা। বসবাসরত অন্যান্য দেশের মানুষ এবং পর্যটকদের সাথে যোগাযোগের সুবিধার্থে স্থানীয়রা ইংরেজী ভাষায় বেশ পারদর্শী। এখানে ব্যবহৃত অন্যান্য ভাষাগুলোর মধ্যে মান্দারিন, হিন্দি, তেলেগু, মালায়য়াম ও তামিল অন্যতম। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে লেকচার ইংরেজীতে নেওয়ার ব্যবস্থা থাকায় আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সমস্যা হয় না। তবে ইংরেজীতে কম দক্ষতাপূর্ণ শিক্ষার্থীদের ইংরেজী শিখার জন্য ভাষাশিক্ষার অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। মালয়েশিয়ার বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে IELTS পয়েন্ট প্রয়োজন হয় না।
·
প্রযুক্তি বিনিয়োগ ও
উন্নত
ইন্টারনেট সুবিধা:
আপনি যদি প্রযুক্তি
ও আবিষ্কারে আগ্রহী হন, আপনার জন্য মালয়েশিয়া । মালয়েশিয়ায় MAVCAP নামক একটি সংস্থা ‘ড্রোন ডেলিভারি সার্ভিস’ ও ই-কমার্সসহ বিভিন্ন যুগান্তরী প্রযুক্তি শিল্পে বিনিয়োগ করছে, ভবিষ্যতে ব্লক চেইন ও ক্রিপ্টো কারেন্সিতে বিনিয়োগের সম্ভাবনা আছে। অল্পসময়েই মালয়েশিয়ার উৎপাদিত প্রযুক্তি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক সাড়া ফেলেছে, যা একই সাথে মালয়েশিয়া এবং উক্ত বিষয়ে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য সম্ভাবনার বিশাল সুযোগ সৃষ্টি করছে।
বিশ্বের
উচ্চগতিসম্পন্ন
ইন্টারনেট সুবিধাদাতা দেশগুলোর মধ্যে মালয়েশিয়া ২৬ তম। এখানে ইন্টারনেটের গতি গড়ে ৬১.৯৭ মেগাবাইট/সেকেন্ড, যেখানে সারাবিশ্বের ইন্টারনেটের গতি গড়ে ৫০.৮৮ মেগাবাইট/সেকেন্ড।
·
স্নাতক শেষে
চাকরির সুযোগ ও ব্যবসায় শুরুর সহায়তা :
মালয়েশিয়ায়
চাকরীর যোগ্যতাসম্পন্ন যে কেউ চাকুরির আবেদন করতে পারে। আবেদন গৃহীত হলে চাকরিদাতা আপনার পক্ষে ভিসার আবেদন করবেন, যাতে আপনি বৈধভাবে মালয়েশিয়ায় কাজ করতে পারেন। চাকুরিজীবিদের জন্য মালয়েশিয়া Employment Pass, Temporary Employment Pass, এবং Visitor’s
Pass (Professional)-এই
তিন ধরনের ভিসা দেয়। ভিসার মেয়াদ ৬ মাস থেকে সর্বোচ্চ ৫ বছর হয়ে থাকে।
‘স্টার্টআপ জিনোম’ নামক আন্তর্জাতিক ফার্মের রিসার্স অনুযায়ী গবেষনা হটস্পটস এবং স্টার্টআপ ব্যবসায় সহায়তাদানকারী অর্থনীতি হিসেবে মালয়েশিয়া প্রথম ২০টি দেশের মধ্যে অন্যতম। ‘দ্যা গ্লোবাল ইকোসিস্টেম রিপোর্ট ২০২০’-এ বলা হয়েছে স্টার্টআপ বিজনেস ও উদ্যোক্তাদের জন্য আদর্শ শহর কুয়ালালামপুরে স্টার্টআপে
তিনটি মূলসুবিধা হলো স্বল্প খরচ, প্রচুর প্রতিভা এবং উচ্চমানের জীবনযাত্রা। এছাড়া মালয়েশিয়ার অধিবাসীরা বন্ধুবৎসল হওয়ায়, উদ্যোক্তারা একে অন্যকে সহযোগিতা করে থাকে। ছাত্রজীবনশেষে ব্যবসায়ের ইচ্ছা থাকলে মালয়েশিয়া হতে পারে আপনার স্টার্টআপের জন্য উপযুক্ত পছন্দ।
·
ভোজনরসিকদের স্বর্গ
:
মালয়েশিয়ায়
রয়েছে বিভিন্ন দেশের বৈচিত্র্যপূর্ণ খাদ্যসম্ভার। মুসলিমবহুল দেশ হওয়ায় মুসলিম শিক্ষার্থীরা হালাল খাদ্যের সুবিধা পেয়ে থাকে, যা পশ্চিমাদেশগুলোয় বেশ দূর্লভ। ভোজনরসিকদের কাছে মালয়েশিয়ার ঐতিহ্যবাহী মালয়েশিয়ান খাবার, চাইনিজ খাবার এবং ইন্ডিয়ান ফাস্টফুড বেশ বিখ্যাত।
মালয়েশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সম্পর্কে জানতে, স্কলারশিপ
সম্পর্কিত তথ্য পেতে Eduhub এর
ফেসবুক এবং ওয়েবসাইট পেজে চোখ রাখুন। মালয়েশিয়ান বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে আবেদন করতে,ভিসা সম্পর্কে সহায়তা পেতে প্রদত্ত নাম্বারে সরাসরি যোগাযোগ করুন। Eduhub বাংলাদেশে প্রথম ওয়েববেজড প্রতিষ্ঠান যারা বিদেশে উচ্চশিক্ষা সংক্রান্ত সবধরনের তথ্য ও পরামর্শ,স্কলারশিপসংক্রান্ত তথ্য এবং ভিসার কাজে সহযোগিতা প্রদান করে থাকে সম্পূর্ণ ফ্রিতে।
বিস্তারিত
জানতে ফোন করুন : ০১৭৬৮৩৬৭৪৭৭, ০১৮৪১৩৬৭৪৭৭, ০১৬৭৮৮২৪৪০০
Comments
Post a Comment